news2bdgazette@gmail.com বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১

দেশসেরা শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনে মনোমুগ্ধকর অ্যাসেম্বলি

ঐশী ইসলাম

প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৯:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

সময়টা সকাল ৮ টা বেজে ৩ মিনিট। দেশসেরা রাজশাহী কলেজের ভেতরে ঢুকে মাঠের দিকে প্রবেশ করলে এক অপূর্ব সংগীত ও নৃত্যের পরিবেশনা দেখা যায়। যেখানে শিক্ষা, উদ্ভাবন, এবং সৃজনশীলতার এক অভূতপূর্ব মিলনমেলা সাজানো হয়। এই অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা বলছেন, এই অ্যাসেম্বলির মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে তাদের জ্ঞান, উদ্ভাবনী ধারণা এবং সৃজনশীলতা উদযাপন করা। এটা শিক্ষার্থীদের মনে এক অন্যরকম উদ্দীপনা এবং উচ্ছ্বাস জাগিয়ে তোলে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে।

শিক্ষকরা বলছেন, এই অ্যাসেম্বলি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য এক অসাধারণ সুযোগ নয়, বরং এটি আমাদের দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের এক ঝলক। আমাদের লক্ষ্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে দেশের প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান ও উদ্ভাবন শেয়ার করতে পারে। আমরা মনে করি, এই ধরনের মেলবন্ধন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করে। এই অ্যাসেম্বলি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, শিক্ষকদের জন্যও এক অনন্য সুযোগ প্রদান করেছে। তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কথা হয় দায়িত্বে থাকা প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনসুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে নির্দেশনা আছে তাই আমরা প্রতিবছর করে থাকি, তবে এবার শীতে একটু দেরি হয়েছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি আমাদের ভালো লাগাও আছে। তবে যদি কোনো বড় ধরনের সমস্যা না দেখা দেয় তাহলে আমরা এই কার্যকর চালু রাখব।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর রাজশাহী কলেজ শাখার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এই কলেজের বিএনসিসির দায়িত্বে আছি। আমার পরবর্তী অনেকে আসবে তখন তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। কারণ এটা একটি জাতীয় নির্দেশনা। আমিও আমার নিজ দায়িত্বে এই এ্যাসেম্বলি করাচ্ছি।

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইম হাসান বলেন, এ্যাসেম্বলিতে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। রোজ সকালে এভাবে একসাথে এ্যাসেম্বলি করলে আমাদের মন ভালো খাকে।

একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী জেসমিন আকতার বলেন, এই কলেজে ভর্তি হতে পেরে অনেক খুশি। আরো ভালো লাগছে যে, রোজ সকালে এভাবে একসাথে আমরা এ্যাসেমলি করতে পারছি অনেক আনন্দ লাগছে। সকালে ঘুম ঘুম চোখে এভাবে একসাথে এ্যাসেম্বলি করলে ক্লাসে মনোযোগ ভালো দেয়া যায়।

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আরিফা বলেন, এখানে এসে আমি অনুভব করছি যে, জ্ঞানের কোনো সীমা নেই এবং আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা কীভাবে সমাজের উন্নতি সাধনে অবদান রাখতে পারে।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক বলেন, আমরা আশা করি এই মেলবন্ধন নতুন ধারণা এবং সম্প্রীতির এক অনন্য উৎসবে পরিণত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সীমাহীন সম্ভাবনা উপলব্ধি করবে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর