প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৫
র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই ছাত্রকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন হল থেকে বহিষ্কারসহ ৬ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- আর্কিটেকচার ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানবির রুবাইয়েত ফারাবী ও একই ব্যাচের দিগন্ত সাহা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ মার্চ হাবিপ্রবি র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ মূলকমিটির ৬ষ্ঠ সভা টিএসসির তৃতীয়তলায় কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি আর্কিটেকচার বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে র্যাগিংয়ের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তির সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের এক ভোরবেলা আর্কিটেকচার বিভাগের নবাগত ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বটগাছের নিচে ডাকে একই বিভাগের ২২ ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীরা। তারা কথোপকথনের একপর্যায়ে নবীন শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় মারে এবং সিগারেটের আগুনে হাতে ছ্যাঁকা দেয়। এরপর তাদের মেসে নিয়ে গিয়েও র্যাগিং করে। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পায় র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি।
হাবিপ্রবির প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের এর আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও প্রক্টর অফিস তাদের র্যাগিং কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, র্যাগিং কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। র্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের র্যাগিং থেকে দূরে থাকতে আহবান জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রদের শাস্তি প্রদান ও বহিষ্কার আমাদের জন্য দুঃখজনক একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের আমরা বারংবার সতর্ক করে যাচ্ছি র্যাগিং কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার জন্য। আমাদের তারপরও ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই হাবিপ্রবিতে কোনো অবস্থাতেই র্যাগিংয়ের ঘটনাকে সমর্থন করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে রয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: