news2bdgazette@gmail.com মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৪

ফাইল ছবি

পাট রফতানি খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাঁচামাল, এবং এ কাঁচামালের অভাববেই প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ডাইভারসিফাইড জুট প্রোডাক্টস, ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না।

তিনি বলছেন, বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য ভারতে ১০০ ধরনেরও বেশি পাটের কাপড় রয়েছে। সেসব দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্যও তৈরি করতে পারে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের কাপড় রয়েছে এবং কাপড়ের গুণগত মানও তেমন ভালো নয়।

কাঁচামাল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে; যা শুধু কাপড়ই তৈরি করবে না, একইসাথে রং করবে এবং লেমিনেশনের সুবিধা থাকবে। এতে উদ্যোক্তারা উচ্চমানের পণ্য তৈরি করতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ডিজাইন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার' রয়েছে। ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতোই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য সংস্থাটির স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনও প্রকল্পের তহবিলে চলে। ফলে, প্রমোশন সেন্টারটি তহবিল সংকটের কারণে উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।

ভারতের এমন চারটি শাখা রয়েছে যা পণ্য উন্নয়ন বা কাঁচামাল উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। বাজার সম্প্রসারণের জন্য তারা প্রায় ২০-২৫টি আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে থাকে। আমাদের সরকারকেও এমন আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করতে হবে।

এছাড়াও তহবিল সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সুলভ ঋণ’ সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন শিল্পখাতে সরকারের তহবিল নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সুলভ ঋণ বাস্তবায়ন করে থাকে। অন্যান্য খাতে এসব ঋণ সুবিধা বেশি থাকলেও পাট কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় তেমন সুবিধা পায় না। এছাড়া ‘সুলভ ঋণের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তও নয় পাট।

কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের ২ শতাংশ কর দিতে হয়। শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আবার পাট রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা। পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিদ্যমান সার্কুলার সংশোধন করতে হবে।

আরএমজি খাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরএমজি এত বড় শিল্পখাতে পরিণত হওয়ার কারণ তারা বন্ডেড গুদামের সুবিধা পেয়েছে। আরএমজি সেক্টরের মতো পাট ও চামড়া খাতও সরকারের তেমন সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা নতুন খাতে লাইসেন্স দিতে চান না।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ পাটজাত পণ্য, কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করছে। এতে কোনো কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন হয় না। কারণ তারা তাদের কারখানার কাঁচামাল দিয়ে পাট-পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশে প্রচলিত পাটকলের ৯৯ শতাংশের কোনো কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট নেই।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর