news2bdgazette@gmail.com সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শীতের সঙ্গে বেড়েছে শীতবস্ত্রের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১৪ ডিসেম্বার ২০২৩, ১৯:৪৬

ফাইল ছবি

পদ্মা নদীর কোলঘেঁষা অঞ্চল রাজশাহীতে কয়েকদিন থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের প্রকোপ শুরু হওয়ায় শীতের পোশাক কিনতে বিভিন্ন শপিংমল ও ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, শীত বেড়ে যাওয়ার সুযোগে বিক্রেতারা বেশি দাম চাইছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, তাদের কেনা দামই বেশি থাকছে তাই একটু বেশি দাম চাইতে বাধ্য হচ্ছেন।

নগরীর গণকপাড়া, জিরোপয়েন্ট, বড়মসজিদ, কোটংবাজার রেলওয়ে স্টেশন মোড়, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের রাস্তার পাশের ফুটপাত বাজার ঘুরে দেখা গেছে- রাস্তার পাশের ফুটপাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মৌসুমি গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান নিয়ে বসেছেন। তবে তাদের মতে এখন কেবল শীত পড়া শুরু হয়েছে, শীত যতই বাড়বে ততই তাদের দোকানের বেচাকেনা বাড়বে।

এখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বয়সীদের সোয়েটার, টুপি, মাফলার, প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি, কোট, জ্যাকেটসহ নানান ধরনের উলের তৈরি কাপড়।

এদিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন এ জেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তবে এ বছর এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। যে কারণে শীতের পোশাক কিনতে নগরীর বিপণি বিতান ও ফুটপাতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ফুটপাতে সমাগম করছেন মধ্যবিত্তরা।

ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে তারা উন্নতমানের শীতের পোশাক কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে কিনতে এসেছেন ফুটপাতে।

সোনাদিঘির মোড়ে সন্তানের জন্য জামা ও টুপি কিনতে আসেন আনোয়ার আলি। তিনি জানান, সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। সন্তানকে বাসায় রেখে বাজারে এসে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কষাঘাতে পেটের খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে শপিংমল থেকে পোশাক ক্রয়ের বিলাসিতার প্রশ্নই আসে না।

আব্দুল হাকিম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এ দোকান থেকে ওই দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো পোশাক কিনতে পারছি না। পছন্দ হলেও দামে মিলছে না। দাম অনেক বেশি।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত মৌসুমের চেয়ে এ বছর বেচাকেনা কম। মানুষ আর্থিক সংকটে থাকায় এমন প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

নগরীর সর্ববৃহৎ ফুটপাতের অন্যতম বাজার রাজশাহীর রেলস্টেশন বাজার। সেখানকার ক্রেতারা বলেন, মানুষের ভিড় হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুর দাম বেশি। সেজন্য ৫ জন দেখলে একজন কিনছে। শীত আরও বাড়লে বেচাবিক্রি হবে হয়ত।

এরশাদ আলী নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ব্যবসার অবস্থা খারাপ। বাজারে কাস্টমার আছে। যারা আসছে, তারা দেখে দেখে চলে যাচ্ছে। শীত পড়ুক, তখন হয়তো বেশি বিক্রি হবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর