টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চ। নিজেদের ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করে সেটা নিয়ে কাজ করা এবং ঝালিয়ে নেওয়ারও সুযোগ। এখনো বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হয়নি। ছোট-খাটো ইনজুরির দুশ্চিন্তা রয়েছে তাবুতে। সব মিলিয়ে কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ। গণমাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।
পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে সহজ জিম্বাবুয়ে। এছাড়া কিছুদিন আগে তারা উগান্ডার কাছে হেরে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। তবুও টাইগার অধিনায়ক তাদেরকে নিচ্ছেন না হালকাভাবে। তবে অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা যে তিনি জিততে চান, তা সরাসরিই বললেন।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মাথায় রেখে নিজের প্রাথমিক লক্ষ্য জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখব কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব, তা–ও নয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলব না। আমি বলব সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুয়ে। বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি দলটি। তাই সহজ প্রতিপক্ষকেই পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু শান্ত হালকাভাবে মোটেও নিচ্ছেন না।
টি-টোয়েন্টির অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোটো দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি…। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজটি কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নেওয়ার অডিশনও। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল থেকেই বিশ্বকাপ দল সাজানো হবে।
এমনটি জানিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে। নির্দিষ্ট করে তিন-চারটা পয়েন্টে মনোযোগ থাকবে, এভাবে বলা মুশকিল। আমি চাইব প্রতিটি জায়গায় যেন ফোকাস থাকে। প্রতিটা জায়গায় যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।’
তানজিদ হাসান তামিমের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হবে যদি তাকে এই সিরিজে খেলানো হয়। এছাড়া চোট কাটিয়ে সাইফউদ্দিন ফিরেছেন দীর্ঘদিন পর। শান্তর ‘এদিক-ওদিক’ কথাটা যে তাদের কথা মাথায় রেখে তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্তব্য করুন: